বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগকে তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলনে ছাত্রলীগ অবিস্মরণীয় অবদান রাখে। এরপর উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৮৩ সালের শিক্ষা আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আজকের এই ছাত্রলীগ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা, বন্যার সময় দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে ছাত্রলীগ। বান্দরবানে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে জেলা ছাত্রলীগ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের প্রথম পর্ব। এর পরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বান্দরবান শহরের রাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ছাত্রলীগ ও এর অংগ সংঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। পরে শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্টানের। অনুষ্টানে কেক কাটার পর সকলের মধ্যে চলে মিষ্টি বিতরণ কার্যক্রম।
বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রলীগ দেশের ইতিহাসের অংশ হয়েছে। ৫২ থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায় ছাত্রলীগ মুক্তিযুদ্ধসহ সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বন্যা, পাহাড় ধস ও রোহিঙ্গাদের সাহায্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আজকের এই ছাত্রলীগ। দীর্ঘ পথ চলায় এই সংগঠনের রয়েছে অনেক সুনাম। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানে ছাত্রলীগ। এসময় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকে বিপুল ভোটে জয় নিশ্চিতে ছাত্রলীগের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। ছাত্রলীগের সদস্যরা কোন অন্যায় কাজে জড়িত না হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় এগিয়ে আসবে আর তার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভুমিকা রাখবে ছাত্রলীগ।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মো:শফিকুর রহমান,কাজল কান্তি দাশ,সহ-সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, পৌর কাউন্সিলর মো:হাবিবুর রহমান খোকন, অজিত কান্তি দাশ,সালেহা বেগম ,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ,সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম,জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তৌহিদুর রহমান চৌধুরী রাশেদ, সম্পাদক সুজন চৌধুরী সঞ্জয়,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউছার সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল,কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক নাজমুল হোসেন বাবলু ,সদস্য সচিব টিপু দাশসহ আওয়ামীলীগ,কৃষক লীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
You must be logged in to post a comment.